4 Days
20 persons
কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন কেন্দ্র। ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সাগর কন্যা হিসেবে পরিচিত, প্রায় ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। এখানকার সৈকত এর একপাশে বিশাল সমুদ্র অন্য পাশে আছে সারি সারি নারিকেল গাছ। এখানে প্রায় সারাবছর সমুদ্র সৈকতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখা যায়। সৈকতে চাইলে মোটরসাইকেল এবং ঘোড়া ও ভাড়া করে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। তাছাড়াও আরো বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমনঃ ফাতরার বন, কুয়াকাটার কুয়া, সামী বৌদ্ধ মন্দির, কেরানিপাড়া, আলীপুর মৎস বন্দর, মিশ্রি পাড়া বৌদ্ধ মন্দির, শুটকি পল্লী, এবং গঙ্গামতির জঙ্গল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
জেলে শুটকি পল্লীর অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে শুটকি পল্লীর দূরত্ব ২ কিলোমিটার। এখানে সাধারণত ভ্যান, অটো ও মোটরসাইকেলেও যাওয়া যায়। এখানে মূলত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুটকি তৈরির মৌসুম চলে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে সৈকত এর পাশেই শুকিয়ে শুটকি তৈরি করা হয়। চাইলে জেলেদের এই কর্মব্যস্ততা দেখে সময় কাটাতে পারবেন এবং কম দামে কিনে আনতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের পছন্দের শুটকি। এই শুটকি পল্লীতে স্থানীয় মেয়েরাই বেশি কাজ করেন যেহেতু পুরুষরা সাধারণত গভীর সমুদ্র মাছ ধরা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। পর্যটকরা তাজা মাছ কেটে শুটকি প্রক্রিয়াজাত করার দৃশ্য দেখতে রীতিমতো এখানে ভিড় জমায়। এছাড়াও দেখতে পাবেন জেলেদের ইলিশ শিকারে সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী করার জীবন-জীবিকার যুদ্ধ।
গঙ্গামতির জঙ্গলের পূর্ব দিকে গঙ্গামতী খাল পর্যন্ত এসে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে। আর এই জায়গা থেকেই গঙ্গামতির জঙ্গল শুরু। অনেকে একে গজ মতির জঙ্গল বলে থাকেন। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মিলে বিভিন্ন রকমের পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ও বন্য শুকর ইত্যাদি পশুপাখির। গঙ্গামতির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পশু পাখি দেখার জন্য প্রতিদিনই প্রায় শত শত পর্যটক গঙ্গামতি জঙ্গল পরিদর্শন করতে আসেন।
53, Baitul Abed(11th Floor) Purana Paltan, Dhaka-1000
01872-604010
bdtourltd@gmail.com